Monday, October 31, 2016

ওষুধ নিয়ে মুনাফাবাজি ও ওষুধনীতি

চিকিৎসাসেবার অঙ্গনে নৈতিকতা ও মানবিকতার মতো মূল্যবোধগুলো প্রাচীনকাল থেকেই পরিস্ফুট। সে ক্ষেত্রে অর্থনৈতিক স্বার্থ, অনৈতিকতা, মুনাফাবৃত্তি বা বাণিজ্যিক চিন্তা স্থান পায়নি। এর কারণ এমন বিবেচনা যে চিকিৎসা পেশা আর পাঁচটা পেশার মতো নয়। এখানে মানুষের জীবনরক্ষা, রোগ থেকে মুক্তি প্রধান বিবেচ্য বিষয়। পেশার সঙ্গে ‘সেবা’ শব্দটি চিকিৎসাব্যবস্থার মাধ্যমে সমাজে প্রথম প্রকাশ পেয়েছে। প্রাচীনকালে চিকিৎসাশাস্ত্রে ‘এথিকস’-এর উদ্ভব ঘটান আধুনিক চিকিৎসাবিজ্ঞানের জন্মদাতা হিপোক্রেটিস। তার হাত ধরে চিকিৎসাশাস্ত্রের করণীয় বিষয় শপথ হিসেবে উচ্চারিত। তবে ভেষজবিজ্ঞানে এই নৈতিকতার প্রকাশ অনেক অনেক পরে প্রযুক্তির অগ্রগতির সঙ্গে তাল মিলিয়ে। কিন্তু দুর্ভাগ্যের বিষয় যে সাম্রাজ্যবাদী চেতনার সঙ্গে ভেষজ তথা ওষুধব্যবস্থার গভীর আতাত।
দুই
পূর্বোক্ত আদর্শিক ও নৈতিক চিন্তাভাবনা পাকিস্তান আমলে পূর্ববঙ্গীয় বিশেষত ঢাকার চিকিৎসক সমাজের একাংশে প্রধান হয়ে ওঠে। এর প্রকাশ ঘটে ব্যক্তিত্ব ও সাংগঠনিক প্রতিক্রিয়ায় মূলত পঞ্চাশের দশকের মাঝামাঝি থেকে। জনাকয় চিকিৎসকের আন্তরিক চেষ্টায় এখানে চিকিৎসা পেশার সাংগঠনিক মুখপাত্র গঠিত হয়, কৌশলগত কারণে এর নামকরণ পাকিস্তান ভিত্তিতে, যদিও প্রাথমিক উদ্যোগ ঢাকায়। প্রতিষ্ঠানের নাম ‘পাকিস্তান মেডিক্যাল অ্যাসোসিয়েশন, ইস্ট জোন’ (সংক্ষেপে চগঅ-ঊত) পেশাভিত্তিক এ সংগঠন গড়ে ওঠার পেছনে অনেকের সঙ্গে বিশেষভাবে দুজন চিকিৎসকের ক্লান্তিহীন সময় ও শ্রমের অবদান স্মরণযোগ্য—ঢাকা শহরের স্বনামখ্যাত জিপি ডা. এম এন নন্দী ও ডা. টি আলী। দুজনই প্রগতি ঘরানার মানুষ। স্বাধীন বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার পর এ সংস্থার নতুন নাম ইগঅ (বাংলাদেশ মেডিক্যাল অ্যাসোসিয়েশন)।
শুরু থেকে এ প্রতিষ্ঠানের প্রধান লক্ষ্য ছিল চিকিৎসক সমাজের পেশাগত মানোন্নয়নের পাশাপাশি চিকিৎসাসেবায় নৈতিকতা, সততা ও আদর্শমান সমুন্নত রাখা। পরে বিশেষ কয়েকজনের আগ্রহে চিকিৎসাসেবার এ নীতি ওষুধশিল্পের ক্ষেত্রে প্রসারিত করার উদ্যোগ নেওয়া হয়।
পাকিস্তানের পূর্বাঞ্চল (পূর্ববঙ্গ) তখন ওষুধ বাণিজ্যের উর্বরভূমি। গোটা পাকিস্তানের ওষুধ বিপণনের বেশির ভাগ পূর্ববঙ্গে। তার ৮০ শতাংশের বেশি বিদেশি বহুজাতিক ওষুধ কোম্পানির দখলে। বাকিটা দেশীয় ওষুধ কোম্পানির হাতে। বহুজাতিক ওষুধ কোম্পানিগুলোর একচেটিয়া মুনাফাবাজিতে যুক্তি জোগান দেওয়া হতো এই বলে যে এসব গবেষণাধর্মী ওষুধ কোম্পানির উৎপন্ন (প্রোডাক্ট) মানেই উন্নতমান ও নির্ভরযোগ্য, যার প্রতীক তাদের বিশেষ ‘ব্র্যান্ড নাম’ যেমন গ্ল্যাক্সো, ফাইজার, আইসিআই, পার্ক ডেভিস ইত্যাদি। আরো যুক্তি তাদের উৎপাদন ব্যয় বেশি বলেই তাদের উৎপাদিত ব্র্যান্ডের ওষুধ দামি; কিন্তু কাজে ধন্বন্তরি। গুণগতমানের পরিচয় তাদের নিজ নিজ ব্র্যান্ডে এর বিকল্প নেই, এ-জাতীয় প্রচারে প্রভাবিত চিকিৎসক, প্রভাবিত রোগী অর্থাৎ ওষুধ ক্রেতা।
কিন্তু মনোযোগী বিশ্লেষণে দেখা যায়, এসব ওষুধ তৈরির কাঁচামালের (জধি সধঃবৎরধষং) মূল্য, অন্যান্য খরচ ও নির্দিষ্ট লভ্যাংশ যোগ করে যে ওষুধের দাম হওয়া উচিত, ধরা যাক ১০ টাকা, বাস্তবে তার বিক্রয়মূল্য ২০ টাকা বা ততোধিক। আর তা জীবন রক্ষাকারী ওষুধ বা অ্যান্টিবায়োটিক বা ইনজেকশনজাতীয় হলে তো কথাই নেই, বিক্রয়মূল্য লাফিয়ে হয়তো ৩০ টাকায় পৌঁছে যায়। কিছু করার নেই। ব্র্যান্ড মহিমা বলে কথা। তা ছাড়া একেক কোম্পানির গবেষণালব্ধ ওষুধ তো অন্য কোথাও পাওয়া যাবে না। তাই নির্ধারিত মূল্য যত বেশিই হোক নিরুপায় রোগীকে তা কিনতে হয়। ব্র্যান্ড খ্যাতির দাম মেটানো এ দেশের নিম্ন আয় বা দরিদ্র জনগোষ্ঠীর পক্ষে কার্যকর ছিল। তবু রোগমুক্তির জন্য কখনো গরিবদের ঘটিবাটি বিক্রি করতে হতো। মুনাফাবাজি এমনই নির্মম, অনেকটা মহাজনী ব্যবসার মতো।
চিকিৎসা ও ওষুধ পেশার কোনো কোনো সচেতন মানুষের পক্ষে অবাধ ও অনৈতিক এ ব্যবসা মেনে নেওয়া সহজ ছিল না। তাই কথা ওঠে ব্র্যান্ড ব্যবসা বিলোপের। ওষুধের মূল ভেষজ নামে (জেনেরিক নামে) ওষুধ উৎপাদন ও বিপণনের। তাতে প্রতিযোগিতা হবে স্বচ্ছ ও নৈতিক। ব্র্যান্ড মাহাত্ম্যের ঊর্ধ্বে। স্বভাবতই উৎপন্ন ওষুধের দাম কমে আসবে, তা সাধারণ মানুষের জন্য সুলভ তথা সহজলভ্য হবে।
কিন্তু বহুজাতিক বিশাল ওষুধ কোম্পানিগুলো একালের করপোরেট পুঁজিবাদের মতো এমনই শক্তিমান যে তাদের সীমাহীন মুনাফাবাজি বন্ধ করা প্রায় অসম্ভবই ছিল। তাদের আগ্রাসী ক্ষমতা এত প্রবল ছিল যে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডঐঙ) মতো সাম্রাজ্যবাদ সমর্থক প্রতিষ্ঠানেরও পূর্বোক্ত বিষয়াদি চোখে লাগে। ‘ওষুধ ঔপনিবেশিকতাবাদে’র (ড্রাগ কলোনিয়ালিজম) বিরুদ্ধে তাদের সোচ্চার হতে দেখা যায়, যা তৃতীয় বিশ্বের জন্য ছিল শুভ সংবাদ। সে সুবাদে পূর্ববঙ্গীয় চগঅ ও দেশি ওষুধ কোম্পানিগুলোর পক্ষে বহুজাতিক মুনাফাবাজির বিরুদ্ধে লড়াইয়ে নামা সম্ভব হয়। কিন্তু মুনাফাবাজির অচলায়তন ভাঙা যায়নি। বিশদ বিবরণ উহ্যই থাক।
তিন
স্বাধীন বাংলাদেশ এ বিষয়ে কিছুটা অনুকূল পরিবেশ তৈরি করে, বিশেষ করে মজবুত দেশি কোম্পানিগুলোর জন্য। তাদের দ্রুত শ্রীবৃদ্ধি ঘটে। বিদেশি কোম্পানিগুলোও তাদের মুনাফা-স্বার্থ বজায় রাখতে সাংগঠনিক পরিবর্তন ঘটায় নয়া অবস্থার পরিপ্রেক্ষিতে। তবে তাদের মুনাফা-স্বার্থে বড় আঘাত পড়ে নয়া ‘ওষুধনীতি’ (ড্রাগ পলিসি) অর্থাৎ ওষুধ নিয়ন্ত্রণ আইন প্রণয়নের ফলে। যে আইন মূলত অপ্রয়োজনীয় ওষুধ বাতিলের মতো একাধিক ব্যবস্থা গ্রহণ এবং ওষুধের বিক্রয়মূল্য নির্ধারণে প্রশাসনিক ভূমিকা নিশ্চিত করে। ওষুধনীতি বাস্তবায়নে ও মূল্য নিয়ন্ত্রণে প্রতিষ্ঠিত হয় ড্রাগ প্রশাসন অধিদফতর। এদের প্রাথমিক দায়িত্ব পালন প্রশংসার যোগ্য।
কিন্তু ওষুধনীতি প্রণয়নে ও বাস্তবায়নে ভেতরের বাধাও কম ছিল না। বহুজাতিক কোম্পানির পাশাপাশি চিকিৎসকদের একাংশেও বিরূপতা ছিল লক্ষ করার মতো। এ জন্য ওষুধনীতি প্রণয়নের উদ্যোক্তাদের কিছু ভুল পদক্ষেপ শেষোক্তদের বিরূপতার অন্তত প্রকাশ্য কারণ। চিকিৎসা পেশাজীবী সংগঠন ‘বিএমএ’কে সঙ্গে নিয়ে কঠিন এ ভেষজযুদ্ধে নামা উচিত ছিল। কারণ ঐক্যবদ্ধ লড়াই সুফল বয়ে আনে। এ নীতিবাক্য তাদের মনে আসেনি। অবশ্য দেশীয় ওষুধ কোম্পানিগুলো এ বিষয়ে নিঃশর্ত ও লাগাতার সমর্থন জোগায়।
লড়াইটা কঠিন ছিল বলেই কি না জানি না, ওষুধনীতির ক্ষেত্রে কিছুটা সীমাবদ্ধতা, কিছুটা আপসবাদ প্রাধান্য পায়। প্রথমত, বাজারজাত প্রতিটি ওষুধপণ্যের সর্বোচ্চ খুচরা মূল্য নির্ধারণ করতে না পারা। তাতে মুনাফাবাজির বিরাট একটা সুযোগ থেকে যায়। দ্বিতীয়ত, জেনেরিক তথা ওষুধের মূল নামে সার্বিক ওষুধ বিপণনব্যবস্থা নিশ্চিত করার ব্যর্থতা। অবশ্য স্বীকার্য যে এ লড়াইটা ছিল আন্তর্জাতিক চরিত্রের এবং আগেই বলেছি বহুজাতিক ওষুধ কোম্পানিগুলো ছিল আন্তর্জাতিক বাজারে মহাশক্তিমান সদস্য। তাই লড়াই হয়ে ওঠে অনেকটাই সাম্রাজ্যবাদ-বিরোধিতার মতোই। তাই এ ক্ষেত্রে ব্র্যান্ড মহিমা ও প্যাটেন্ট স্বত্বের সুবিধার কাছে ওষুধনীতির পরাজয় ছিল রূঢ় সত্য। শক্তিমানকে ছাড় দিতে গিয়ে ব্র্যান্ড নামে ওষুধপণ্য বিপণন মেনে নিতে হয়। জেনেরিক নামে ওষুধপণ্য প্রস্তুত ও বিপণন বাধ্যতামূলক করা যায়নি। নয়া উদ্ভাবিত ওষুধের স্বত্ব ইত্যাদি একাধিক সমস্যাও এ ক্ষেত্রে সক্রিয় ছিল।
আংশিক বিজয় অর্জিত হলেও ওষুধনীতি কি প্রতিবেশী দেশে, কি আন্তর্জাতিক মহলে প্রশংসিত হয়, কিছুটা আলোড়ন তোলে। এ নীতি অনুসরণযোগ্য বলেও মনে হয়, বিশেষ করে যখন বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা এ নীতির প্রতি ঢালাও সমর্থন জানায় মূলত ভোক্তাস্বার্থে। তারা জেনেরিক নামে ওষুধপণ্য বিপণনেরও সমর্থক ছিল। এ নীতি কিছুটা হলেও যে জনস্বার্থসাপেক্ষ তার প্রমাণ বিদেশি বহুজাতিক কোম্পানিগুলোর বড়সড় অংশের ঢাকা থেকে বিদায় গ্রহণ, বাকিরা ভিন্ন কৌশলে টিকে থাকার চেষ্টা চালিয়েছে এবং টিকে আছে। যেমন ‘আইসিআই’ (এসিআই নামে), ফাইজার (রেনেটা নামে), গ্ল্যাক্সো স্বনামে (সঙ্গে স্মিতক্লাইন) ইত্যাদি। গ্ল্যাক্সোর পণ্যের দাম অবশ্য বরাবরই অপেক্ষাকৃত কম ছিল।
কিন্তু ওষুধনীতির সার্বিক সুফল প্রকাশে বড় বাধা ছিল শর্ষের মধ্যে ভূতের উপস্থিতি। ভেতরেই যদি আদর্শিক বিরূপতা থাকে, তাহলে কোনো সৎ প্রচেষ্টারও সদ্গতি হয় না। হয়নি ওষুধনীতির। শুরুতে কিছুটা সুফল পাওয়া গেলেও পরবর্তী সময়ে এবং বর্তমানে এর গঙ্গাযাত্রাই নিশ্চিত পরিণাম হয়ে উঠছে। এর অন্যতম প্রধান কারণ একদা পশ্চাৎপদ দেশি কোম্পানিগুলোর বিদেশি কোম্পানিগুলোর মতো বহুজাতিক চরিত্র অর্জন ও অব্যাহত মুনাফাবাজি। এরা আসলে নীতিগত ও মুনাফাগত দুই দিক থেকেই বিদায়ীদের শূন্যস্থান পূরণ করেছে। হয়ে উঠেছে শক্তিমান উত্তরসূরি।
অথচ বহুজাতিক বিদেশি কোম্পানিগুলোর মতো মৌলিক ভেষজ গবেষণায় এদের বিন্দুমাত্র আগ্রহ নেই, আছে শুধু মুনাফার লোভ। বিদেশি প্রযুক্তি ধার করে মুনাফাবাজিকে নানা শাখায় পল্লবিত করে তোলাই এ দেশে ওষুধ ব্যবসানীতির একমাত্র সত্য। সে ধারায় মাড়োয়ারিদের বহুকথিত ‘বেওসা’ এরা মহাসমারোহে চালিয়ে যাচ্ছে।
সে ব্যবসা অর্থাৎ মুনাফাবাজি সাদামাটা ওষুধপণ্যের খুশিমতো বিক্রয়মূল্য নির্ধারণে যেখানে ওষুধ প্রশাসন নীরব দর্শক। সত্যি বলতে কী, ওষুধ প্রশাসন তার নখদন্ত হারিয়ে এখন একটি বর্জ্য প্রতিষ্ঠানে পরিণত। তেমনি এ ক্ষেত্রে শাসনযন্ত্রও অন্ধ রাজা যুধিষ্ঠির। তাই বড়সড় ওষুধ কোম্পানিগুলো অবাধ মুনাফাবাজিতে ফুলেফেঁপে উঠছে। সাদামাটা ওষুধ বাদেও বিশেষ প্রযুক্তির ওষুধপণ্যের খেয়ালখুশির উচ্চমূল্য নিজেরাই নির্ধারণ করছে। সেখানে কারো নিয়ন্ত্রণ নেই। মুনাফা শতগুণ হলেও ক্ষতি নেই, শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ দূর-অস্ত। যত কষ্ট নিম্ন আয়ের সৎ মানুষের ও দরিদ্র জনতার।
ওষুধের দাম, কাঁচামালের দাম নিয়ে কত প্রকার যে ফাঁকি তা অন্দরমহলের মানুষ, এ বিষয়ে অভিজ্ঞ মানুষ মাত্রই জানে। আমরা জানি, একদা ওষুধশিল্পের সঙ্গে জড়িত থাকার কারণে তাই এ লেখা। কিন্তু কে শুনবে কার কথা। তাই দেখতে হচ্ছে বর্তমানে বাংলাদেশে ওষুধপণ্যের বাজারে ব্যাপক নৈরাজ্য, মূলত এর মূল্য নির্ধারণে এবং কিছুসংখ্যক অসাধু ব্যবসায়ীর চাতুর্যের ফলে পকেট কাটা যাচ্ছে সাধারণ মানুষের। সেই সঙ্গে যুক্ত হয়েছে কিছুসংখ্যক নকল প্রস্তুতকারকের ভেজাল ওষুধ ব্যবসা, যার ব্যবহার রোগীকে মৃত্যুর দিকে ঠেলে দিচ্ছে।
বাংলাদেশের ওষুধপণ্যের বাজার প্রস্তুতকারক ও ব্যবসায়ীদের কল্যাণে এক অদ্ভুত প্রতারণার নৈরাজ্যিক বাজারে পরিণত হয়েছে। অভিভাবকহীন এ সেবা-ভুবন। সব ন্যায়নীতি এখানে অচল। আছে শুধু মুনাফা। আছে ওষুধের ক্রমবর্ধমান দাম বাড়ার নৈরাজ্য নিয়ে মানুষের তিক্ত অভিমত প্রকাশ। কবে ঘুম ভাঙবে ওষুধ প্রশাসন নামক কুম্ভকর্ণের! এখন দরকার স্বদেশি সিন্ডিকেট ভাঙতে প্রবল একটি আঘাতের। সে কালাপাহাড়ের অপেক্ষা।
লেখক: কবি, গবেষক ও ভাষাসংগ্রামী

No comments:

Post a Comment