নিষ্ক্রিয় বিএসটিআই: মান পরীক্ষা ছাড়াই বাজারজাত হচ্ছে পণ্য
প্রয়োজনীয় মান পরীক্ষা ছাড়াই দেশের বাজারে দেদারসে বিক্রি হচ্ছে অধিকাংশ খাদ্য ও প্রসাধন সামগ্রীসহ নিত্য ব্যবহার্য পণ্য। এর মধ্যে যেমন দেশে উৎপাদিত পণ্য রয়েছে, তেমনি রয়েছে বিদেশ থেকে আমদানি পণ্যসামগ্রীও। একদিকে যেমন এসব পণ্য উৎপাদন হচ্ছে দূষিত পরিবেশে, মানহীনভাবে; তেমনি বিক্রি হচ্ছে কম ওজনে ও মেয়াদ উত্তীর্ণের পরও। এ থেকে বাদ যাচ্ছে না শিশুখাদ্য থেকে রোগীর খাবার পর্যন্ত। অহরহ সাধারণ খাবার তো রয়েছেই। এতে ভোক্তারা শুধু ঠকছেই না, ক্ষতিকর প্রভাব পড়ছে জনস্বাস্থ্যে। নিরুপায় হয়ে ব্যবহার করতে গিয়ে স্বল্প ও দীর্ঘমেয়াদি নানা অসুখ-বিসুখ ও স্বাস্থ্য সমস্যায় আক্রান্ত হচ্ছে সাধারণ মানুষ।
অন্যদিকে প্রক্রিয়াজাতসহ দেশের বাজারে সহস্রাধিক খাদ্যপণ্য বেচাকেনা হচ্ছে। এর মধ্যে মাত্র ৫৯টি খাদ্যপণ্যসহ মোট ১৫৫টি বিভিন্ন ধরনের পণ্যের মান যাচাই করে সংশ্লিষ্ট উৎপাদন ও বিপণনকারী প্রতিষ্ঠানকে বাজারজাত করার সনদ দিচ্ছে শিল্প মন্ত্রণালয়ের অধীন বাংলাদেশ স্ট্যান্ডার্ডস ও টেস্টিং ইনস্টিটিউশন (বিএসটিআই)। মান পরীক্ষা করে বাজারে ছাড়া খাদ্যপণ্যগুলোর পরবর্তীতে মান রক্ষা হচ্ছে কিনা, তদারকি হচ্ছে না তাও। এমনকি পরীক্ষিত পণ্যের মান নিয়ে প্রশ্ন ওঠায় অশুল্ক বাধায় পড়তে হচ্ছে বিভিন্ন রফতানি পণ্যের।
এনিয়ে বরাবরই উদ্বেগ প্রকাশ করে আসছে বিভিন্ন ভোক্তা অধিকার ও পরিবেশবাদী সংগঠন, জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞসহ বিভিন্ন মহল। সরকারের শিল্প মন্ত্রণালয় ও বিএসটিআইএও মানসম্পন্ন পণ্য বাজারজাত করার প্রতিশ্রুতি দিয়ে আসছে। এ-সংক্রান্ত আইন সংশোধনসহ বিভিন্ন পদক্ষেপের কথাও বলা হচ্ছে। কিন্তু কার্যকর হচ্ছে না কোনো কিছুই। অনিশ্চয়তার মধ্যেই এসব মানহীন পণ্য চড়া মূল্যে কিনতে বাধ্য হচ্ছে সাধারণ মানুষ। নানাভাবে অভিযোগ করেও ফল পাচ্ছে না।
এ বিষয়ে কনজুমারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ক্যাব) সভাপতি গোলাম রহমান বলেন, দেশের বাজারে বিভিন্ন ধরনের সহস্রাধিক খাদ্যপণ্য রয়েছে। এর মধ্যে মান যাচাই করে বিএসটিআই সনদ দেয় মাত্র অর্ধশতাধিক খাদ্যপণ্যের। বাকি সব পণ্যই কোনো ধরনের মান যাচাই ছাড়াই বিভিন্নভাবে প্রক্রিয়াজাত করে বাজারজাত হচ্ছে। আবার বিএসটিআই সনদ দেওয়ার পর এখতিয়ারভুক্ত পণ্যগুলোর যথাযথ মান নিয়ন্ত্রণ হচ্ছে কিনা, তাও নিবিড়ভাবে তদারক করে না। ফলে প্রতিনিয়ত সাধারণ মানুষ মানহীন, মেয়াদোত্তীর্ণ, দূষিত খাবার খাচ্ছে। অথচ বিএসটিআইসহ নিয়ন্ত্রণকারী সংশ্লিষ্ট সরকারি প্রতিষ্ঠানগুলো যথাযথ পদক্ষেপ নিচ্ছে না।
এ প্রসঙ্গে বিএসটিআইয়ের মহাপরিচালক ইকরামুল হক বলেন, যেসব ক্ষেত্রে কারচুপি বা ত্রুটিবিচ্যুতি পাই, সেখানে আমরা মাসে দুই-পাঁচটি মোবাইল কোর্ট ও স্পট অভিযান চালাই। অনেক কিছুই নিয়ন্ত্রণে এনেছি। তবে আমাদের যে উইং এখানে কাজ করে, সেখানে বাংলাদেশের আয়তনের অনুপাতে জনবল অত্যন্ত সীমিত। গোটা দেশ কাভার করতে হিমশিম খেতে হয়। তাই গ্রামগঞ্জে এ কার্যক্রম চালানো খুব কষ্টসাধ্য হয়ে দাঁড়িয়েছে। পণ্য বাধ্যতামূলক তালিকা মূলত সরকার নিয়ন্ত্রণ করে। এজন্য বিএসটিআইয়ের আগামী কাউন্সিলে কিছু পণ্য তালিকা থেকে বাদ এবং কিছু নতুন পণ্য তালিকাভুক্তির চেষ্টা চলছে।
এ অবস্থার মধ্য দিয়েই শুক্রবার পালিত হচ্ছে বিশ্ব মান দিবস। এ বছর দিবসটির প্রতিপাদ্য বিষয়—‘মান আস্থা সৃষ্টি করে’। দিবস উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পৃথক বাণী দিয়েছেন। দিবস উপলক্ষে জাতীয় মান সংস্থা হিসেবে বাংলাদেশ স্ট্যান্ডার্ডস অ্যান্ড টেস্টিং ইনস্টিটিউশন (বিএসটিআই) বিভিন্ন কর্মসূচি হাতে নিয়েছে।
শিল্প মন্ত্রণালয় ও বিএসটিআইয়ের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলে ও খোঁজ নিয়ে পণ্যের মানের এ চিত্র পাওয়া গেছে।
সহস্রাধিক খাদ্যপণ্য, পরীক্ষা হচ্ছে ৫৯ : ক্যাবের হিসেবে দেশের বাজারে সহস্রাধিক খাদ্যপণ্য বিক্রি হলেও বিএসটিআই মান পরীক্ষা করছে মাত্র ৫৯টির। তবে বিএসটিআইয়ের যথাযথ তদারকির অভাবে মান নিয়ন্ত্রণের আওতায় থাকা ৫৯টি পণ্যও দেশে-বিদেশে যেনতেনভাবে দূষিত পরিবেশে উৎপাদন, মেয়াদোত্তীর্ণ, মানহীন ও কম ওজনে দেদারসে বিক্রি হচ্ছে।
বিএসটিআই সূত্রে জানা যায়, প্রতিষ্ঠানটি মোট ১৫৫টি পণ্যের মান যাচাই করে সংশ্লিষ্ট উৎপাদন ও বিপণনকারী প্রতিষ্ঠানকে বাজারজাত করার জন্য সনদ দিয়ে থাকে। এর মধ্যে ৬৪টি খাদ্য ও কৃষি এবং খাদ্য প্রক্রিয়াজাতকরণে ব্যবহৃত যান্ত্রিক পণ্য। বাকিগুলোর মধ্যে ৪০টি রাসায়নিক পণ্য, ১১টি পাট ও টেক্সটাইল পণ্য, ২৫টি বৈদ্যুতিক এবং ১৫টি প্রকৌশল পণ্য। আবার ৬৪টি খাদ্য ও কৃষিপণ্যের মধ্যে খাদ্যপণ্য রয়েছে ৫৯টি।
তবে রাজধানীর কারওয়ান বাজার, হাতিরপুল বাজার ও মালিবাগের দোকানগুলো ঘুরে দেখা গেছে, বিএসটিআইয়ের তালিকার বাইরে আরো অসংখ্য প্রক্রিয়াজাতকৃত ও অন্যান্য খাদ্যপণ্য কোনো ধরনের মান যাচাই ছাড়াই বিক্রি হচ্ছে। প্রায় সব দোকানেই ওই ৫৯টি পণ্যের বাইরে বিএসটিআই লোগোর সিল ছাড়াও পণ্য রয়েছে। আবার বিএসটিআইয়ের আওতাভুক্ত অত্যাবশ্যকীয় পণ্য স্থানীয়ভাবে ও অন্যান্য দেশে উৎপাদন হয়ে বিএসটিআইয়ের মান যাচাই ছাড়াই বাজারে ঢুকে পড়ছে।
এ ব্যাপারে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রসায়ন বিভাগের অধ্যাপক তোফায়েল আহমেদ চৌধুরী বলেন, ফলের তৈরি প্যাকেটজাত খাবারগুলো তৈরি হচ্ছে কৃত্রিম রং ও উপাদানে। ক্ষতিকর সেকারিন ও মিষ্টি মিশিয়ে বাজারজাত করা হচ্ছে আইসক্রিমসহ বিভিন্ন পানীয়। থাকছে সোডাও। পনির ও পিৎজারের মতো কৃত্রিম ফ্লেভার মেশানো উচ্চ মাত্রার সোডিয়ামের তৈরি ক্র্যাকার্স বাচ্চাদের জনপ্রিয় হলেও ক্ষতিকর।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পুষ্টি ও খাদ্য বিজ্ঞান ইনস্টিটিউটের সাবেক পরিচালক অধ্যাপক গোলাম মাওলা বলেন, বাজারের খাদ্যপণ্যতো বটেই, প্রক্রিয়াজাতকারী খাদ্যপণ্যের পণ্যের দাম, ওজন ও মান নিয়ন্ত্রণ দরকার। বিএসটিআইয়ের সক্ষমতা বাড়িয়ে মান নিয়ন্ত্রণের তালিকায় বহুল প্রচলিত নতুন নতুন খাদ্যপণ্য অন্তর্ভুক্ত করা প্রয়োজন। যেনতেন পরিবেশে উৎপাদনের পর ইচ্ছেমতো বাজারজাত করা বহু খাদ্যপণ্য ব্যাকটেরিয়া, ভাইরাসসহ নানা জীবাণুযুক্ত ও বিষাক্ত। তা খেয়ে উদরাময়সহ নানা সংক্রামক রোগে আক্রান্ত হচ্ছে ভোক্তারা। শিশু ও বয়স্করা জটিল রোগে ভুগছে।
প্রসাধন পণ্যে তদারকি নেই : ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের এক গবেষণায় দেখা গেছে, দেশে যে পরিমাণ প্রসাধন সামগ্রীর চাহিদা রয়েছে তার ১৫ শতাংশ পূরণ হচ্ছে দেশীয় বৈধ কোম্পানির উৎপাদনে। আর ১৫ শতাংশ আমদানি করা বিদেশি পণ্য। বাকি ৭০ শতাংশ প্রসাধন সামগ্রী নকল ও ক্ষতিকারক উপাদান দিয়ে তৈরি করে অসাধু ব্যবসায়ীরা। ওই গবেষণায় আরও বলা হয়েছে, পুরান ঢাকার চকবাজার, জিঞ্জিরা, ইসলামপুর এবং ঢাকার বাইরে বিভিন্ন জেলা শহরে এই নকল কসমেটিকস তৈরির কারখানা গড়ে উঠেছে।
অথচ এসব পণ্য ব্যবহারে মুখের ত্বকে এবং শরীরের কোমল ত্বকে কালো দাগ, র্যাশ, গোটা, লাল হয়ে যাওয়া অ্যালার্জি হয়। ব্যথা ও ইনফেকশন হতে পারে। স্থায়ী দাগ পড়তে পারে। অনেক ক্ষেত্রে চামড়া সাদা হয়ে যায়। দীর্ঘমেয়াদি ব্যবহারে কিডনি ও ফুসফুস ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে। এমনকি ক্যানসারও হতে পারে বলে জানান বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের চর্ম ও যৌনব্যাধি বিভাগের অধ্যাপক ডা. মোহাম্মদ শহীদুল্লাহ সিকদার।
কিন্তু এসব প্রসাধন সামগ্রীর মধ্যে হাতেগোনা কিছু পণ্য বিএসটিআইয়ের তালিকাভুক্ত বলে জানান বিএসটিআইয়ের এক কর্মকর্তা। তিনি বলেন, বিএসটিআই থেকে যেগুলোর লাইসেন্স নিতে হয় সেগুলো নকল হলে মোবাইল কোর্টের মাধ্যমে বিএসটিআই আইন অনুযায়ী জরিমানা ও দণ্ড দেওয়া হয়।
মামলা ১০৯৮, নিষ্পত্তি ৩৮ : খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, বিএসটিআইয়ের পণ্যের মান নিয়ন্ত্রণের দায়িত্ব থাকলেও প্রতিষ্ঠানটিতে কোনো ম্যাজিস্ট্রেট কর্মরত নেই। ফলে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনার জন্য তাকিয়ে থাকতে হয় জেলা প্রশাসন থেকে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট পাওয়ার জন্য। আবার ম্যাজিস্ট্রেট সময় দিতে পারলেও ধরনা দিতে হয় পুলিশ ফোর্সের জন্য। ফলে সংবাদ পেলে বা ইচ্ছে হলেই মোবাইল কোর্টও পরিচালনা করতে পারছে না প্রতিষ্ঠানটি। মানহীন, দূষিত, মেয়াদোত্তীর্ণ, কম ওজন ইত্যাদি কারণে ২০১৪ সালের জুলাই থেকে এ বছরের জানুয়ারি পর্যন্ত দেড় বছরে ২ হাজার ১০৫টি উৎপাদন, বাজারজাত ও বিপণনকারী ব্যবসা প্রতিষ্ঠানকে জরিমানা করা হয়েছে। একই সময়ে পরিচালিত ১ হাজার ৩৯৫টি মোবাইল কোর্টে ২ হাজার ৯৭টি মামলা হয়েছে। জরিমানা আদায় করা হয়েছে ৭ কোটি ১৯ লাখ ৯৫ হাজার ৩০০ টাকা। অপরদিকে বাজার থেকে খাদ্যের নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষাগারে যাচাইয়ে মান সঠিক না পাওয়ায় মামলা (সার্ভিল্যান্স টিম) হয়েছে ১ হাজার ৯৮ টি। এর মধ্যে নিষ্পত্তি হয়েছে ৩৮টি মামলার। জরিমানা আদায় হয়েছে ৫ লাখ ৬৯ হাজার টাকা। একই সময়ে ৮৩টি প্রতিষ্ঠান সিলগালা করে দেয়া হয়।
সংকট কাটে না : বিএসটিআই কেন যথাযথ ভূমিকা রাখতে পারছে না- এমন প্রশ্নে বরাবরই বিএসটিআই কর্তৃপক্ষ ‘লোকবল নেই’ বলে কারণ দেখান। অথচ জনবল বাড়ানো তো দূরের কথা, নিজেদের শূন্যপদগুলোই পূরণ করতে পারেননি তারা। সংস্থাটির কাঠামো বা অর্গানোগ্রামে জনবল বাড়ানোর জন্য সম্প্রতি প্রস্তাব দেওয়া হলেও শিল্প মন্ত্রণালয় আগে শূন্যপদে লোক নিয়োগ দিতে বলেছে। বর্তমান অর্গানোগ্রাম অনুযায়ী সংস্থাটিতে পদসংখ্যা ৬০১টি। বিপরীতে জনবল আছে ৩৯৪ জন। পণ্যের মান নিয়ন্ত্রণ ও সঠিক পরিমাপ নিশ্চিত করতে প্রতিষ্ঠানটির পরীক্ষক, মাঠ পরিদর্শক (সার্টিফিকেশন মার্কস বা সিএম) ও পরিদর্শকরা (মেট্রোলজি) সবচেয়ে বড় ভূমিকা পালন করেন। এ পদগুলোতেই জনবল সংকট প্রকট। মাঠ পরিদর্শক (সিএম) পদে ৬৭টি পদের মধ্যে ৪৭ জন কর্মকর্তা আছেন। পরীক্ষক হিসেবে ৫৯টি পদের বিপরীতে জনবল আছে ২৬ জন। আর পরিদর্শকের (মেট্রোলজি) ৬৫ পদের বিপরীতে জনবল আছে ২২। আবার বিএসটিআইয়ের কার্যালয় আছে কেবল ছয়টি বিভাগীয় শহরে। তাদের কার্যক্রমও ওইসব শহরে সীমাবদ্ধ। বিএসটিআইতে বর্তমানে পুরো দেশে সব পরীক্ষাগারে কর্মরত পরীক্ষকের সংখ্যা মাত্র ২৬ এবং ঊর্ধ্বতন পরীক্ষকের সংখ্যা ১৫ জন।
সংস্থাটির উপপরিচালক (প্রশাসন) তাহের জামিল বলেন, সরকারের প্রচলিত নিয়মনীতি ও সংস্থার বিদ্যমান বিধিবিধানের আলোকে জনবল নিয়োগ করতে হয় বিধায় এটি একটি দীর্ঘ প্রক্রিয়ার ব্যাপার। সরকারের বিগত মেয়াদে সংস্থায় বিভিন্ন পদে ১৩৫ জন জনবল নিয়োগ করা হয়েছে, বর্তমানে আরো ৮৮টি পদে নিয়োগ প্রক্রিয়াধীন। এটি একটি চলমান কার্যক্রম।
আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি কাজে আসছে না : ১৯৮৫ সালে প্রতিষ্ঠা হয়ে ২০১১ সালে ভারতের মান নিয়ন্ত্রক সংস্থার স্বীকৃতি পায় বিএসটিআই। ২০১১ সালের ৯ জানুয়ারি এ অনুমোদন দেওয়ার পর ভারতের কোয়ালিটি কাউন্সিল অব ইন্ডিয়ার (সিসিআই) চেয়ারম্যান বি ভেঙ্কাটারাম বাংলাদেশের কাছে স্বীকৃতিপত্র হস্তান্তর করেন ৩১ জানুয়ারি। ফলে ভারতে রফতানির ক্ষেত্রে বাংলাদেশে পরীক্ষিত (১৪৩টি প্যারামিটার) ২৫টি পণ্য বিএসটিআইয়ের সনদে ভারতে বিক্রির সুযোগ পাওয়ার কথা। কিন্তু আদতে তা হচ্ছে না। ভারত বিএসটিআই অনুমোদিত পণ্য আবার পরীক্ষা করছে। এমনকি এই সংকট বিশ্বের অন্যান্য দেশে পণ্য রফতানির ক্ষেত্রেও।
এ ব্যাপারে এফবিসিসিআইয়ের পরিচালক হেলাল উদ্দিন বলেন, বিএসটিআইয়ের সনদ থাকা সত্ত্বেও ভারত, আমেরিকাসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশ তাদের মতো করে মান যাচাই করে। কারণ, বিএসটিআই সেই আন্তর্জাতিক মানে পৌঁছুতে পারেনি। তবে সেটি করতে হবে। রফতানি যে হারে বাড়ছে, তাতে এটি করতে না পারলে আমরা ক্ষতিগ্রস্ত হব।
No comments:
Post a Comment