Saturday, August 20, 2016

বালুচিস্তান আবার অশান্ত!
---------------------------------------
অভিযোগ হ'লো,কথা রাখেননি জিন্নাহ, নবাবকে মেরেছে সেনা, মরিয়া যুদ্ধে বালুচিস্তান
স্বাধীনতাপন্থী বালোচদের পতাকা আবার উড়েছে।কয়েক বছর সুপ্ত থাকা আগ্নেয়গিরি ফের জেগে উঠেছে। পাকিস্তানে ফের লাভা উদগীরণ শুরু করেছে বালুচিস্তান। ইসলামাবাদের নিয়ন্ত্রণ থেকে মুক্তির জন্য এই রক্তক্ষয়ী সংগ্রাম নতুন নয়। ১৯৪৭ সালে ব্রিটিশরা বালুচ অঞ্চলকে পাকিস্তানের অন্তর্ভুক্ত করার পর থেকেই রক্তপাত শুরু। নির্মম দমননীতি চালিয়ে পাকিস্তান বহু বার স্তব্ধ করে দেওয়ার চেষ্টা করেছে বালুচদের স্বাধীনতার সংগ্রাম। কিন্তু বার বার মাথাচাড়া দিয়েছে বালুচ বিদ্রোহীরা।
এই লড়াইয়ের শিকড় কিন্তু সুদূর অতীতে।
পাকিস্তান, আফগানিস্তান এবং ইরান— বালুচিস্তানকে ঘিরে থাকা এই তিন দেশের জনগোষ্ঠীর সঙ্গে বালুচ জনগোষ্ঠীর কিছু মৌলিক পার্থক্য রয়েছে বলে ঐতিহাসিকদের একাংশ মনে করেন। সিন্ধু সভ্যতারও আগে যে কৃষিনির্ভর সভ্যতার বিকাশ হয়েছিল ভারতীয় উপমহাদেশের সুদূর পশ্চিমে, তা এই বালুচিস্তানেই ছিল বলে মনে করা হয়। এখন ইরান নামে পরিচিত যে অঞ্চল, সেই দিক থেকে আসা একটি জনগোষ্ঠীই বালুচিস্তানে সভ্যতার বিকাশ ঘটিয়েছিল বলে মনে করা হয়। কিন্তু পরবর্তীকালে সেই জনগোষ্ঠীর সঙ্গে মিশে যায় দক্ষিণ ভারত থেকে বালুচিস্তানে যাওয়া দ্রাবিড় জনগোষ্ঠীর একটি অংশ। অর্থাৎ মধ্য এশিয়া এবং দক্ষিণ ভারতের দু’টি পৃথক জনগোষ্ঠী পরস্পরের সঙ্গে মিশে গিয়ে বালুচ জনগোষ্ঠীর জন্ম। বালুচদের উদ্ভব সম্পর্কে প্রচলিত এই তত্ত্ব নিয়ে ঐতিহাসিকদের অন্য একটি অংশ কিছুটা দ্বিমত পোষণ করেন।
ভারতের দক্ষিণাংশ থেকে সিন্ধু উপত্যকা পেরিয়ে পশ্চিমে চলে যাওয়া দ্রাবিড় জনগোষ্ঠীর একটি শাখার সঙ্গে মধ্য এশিয়ার দিক থেকে আসা একটি জনজাতির জিনগত মিলনেই যে বালুচদের উদ্ভব, তা নিয়ে মোটের উপর খুব একটা দ্বিমত নেই ইতিহাসবেত্বাদের মাঝে।

No comments:

Post a Comment