Tuesday, August 2, 2016

সারাদেশে বন্যা পরিস্থিতির অবনতি
-------------------------------------------
গাইবান্ধা, কুড়িগ্রাম, সুনামগঞ্জ, জামালপুর ও সিরাজগঞ্জে বন্যা পরিস্থিতির আরও অবনতি হয়েছে। গাইবান্ধায় বাঁধ ভেঙ্গে বিস্তীর্ণ গ্রামের পর গ্রাম প্লাবিত। ৪০টি সড়কের ব্রীজ-কালভাট যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন। জামালপুরে এখনো ট্রেন চলাচল বন্ধ রয়েছে।
গাইবান্ধায় বন্যা পরিস্থিতির প্রতিদিনই অবনতি হচ্ছে। বেড়েছে পানিবন্দি মানুষের দুর্ভোগ। রোববার সদরের সোনাইল বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধের বিশাল অংশ ভেঙ্গে নতুন করে সদর উপজেলার বিস্তৃর্ণ এলাকা প্লাবিত হয়েছে।
ফুলছড়ি উপজেলার সিংড়িয়ায় ব্রহ্মপুত্র বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ ভেঙ্গে এখনো গ্রামে গ্রামে পানি ঢুকে পড়ছে। ফুলছড়ি উপজেলা পরিষদসহ আশপাশের আরো ২৫টি নতুন এলাকা প্লাবিত হওয়ায় মানুষের দুর্ভোগের সীমা ছাড়িয়েছে। প্রশাসন পর্যাপ্ত ত্রাণ সরবরাহের দাবী করলেও অনেক এলাকার মানুষের হাতে এখনও ত্রাণ পৌঁছেনি।
সাঘাটার ভাঙ্গামোড়, ফলছড়ির মদনের পাড়াসহ ৪০টি কাঁচা পাকা সড়কের ব্রীজ কালভার্ট স্রোতের তীব্রতায় ভেঙ্গে যাওয়ায় জেলা সদরের সাথে সাঘাটা, ফুলছড়ি উপজেলার যোগাযোগ ব্যবস্থা পুরোপুরিভাবে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। ফুলছড়ি উপজেলার ১০৯টি প্রাথমিক বিদ্যালয় বন্ধ হয়ে গেছে।
জামালপুরে যমুনার পানি বিপদসীমার ৮৭ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে বইছে। রেললাইন থেকে পানি সরে গেলে এখনও বন্ধ রয়েছে জামালপুর-দেওয়ানগঞ্জ এবং জামালপুর-সরিষাবাড়ি রেল পথের ট্রেন যোগাযোগ। শনিবার রেল কর্তৃপক্ষ জামালপুর-সরিষাবাড়ি রুটে বন্যার পানিতে রেল লাইন তলিয়ে যাওয়ায় ট্রেন চলাচল বন্ধ করে দেয়। এর আগে শুক্রবার রাত থেকে বন্ধ করে দেয়া হয় জামালপুর-দেওয়ানগঞ্জ লাইনের ট্রেন চলাচল।
এখনো বন্যার পানিতে ডুব আছে জেলার ৭টি উপজেলার সাড়ে ৫ লাখ মানুষের বাড়িঘর।
সিরাজগঞ্জে যমুনা নদীর পানি এখনো বিপদ সীমার ৭২ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে বইছে। পানি কমতে শুরু করলেও এখনো পানি বন্দি রয়েছে জেলার সদর, শাহজাদপুর, বেলকুচি, চৌহালি ও কাজিপুর উপজেলার ৪৫টি ইউনিয়নের ২৭৭টি গ্রাম।
বিশুদ্ধ পানি এবং খাবার সংকটের পাশাপাশি দীর্ঘ দিন পানিবন্দি থাকা বন্যা কবলিত এলাকায় দেখা দিয়েছে পানিবাহিত রোগ।

No comments:

Post a Comment