মঙ্গলের সেমরা গাঙে বান ডাকালেন বাঙালি গবেষক, মঙ্গলে মিলল নদীর ফসিল
মঙ্গলের এক এলাকা,যেখানে মিলেছে নদীর ‘ফসিল’।এ বার মরা গাঙে বান ডাকালেন এক বাঙালি! দেখালেন, মঙ্গলে এক সময় ছিল বড় বড় নদী। কম করে ১৭ হাজার বর্গ কিলোমিটার এলাকা জুড়ে ছড়িয়ে ছিল সেই সব নদী। ‘লাল গ্রহে’র উত্তর গোলার্ধে ‘অ্যারাবিয়া টেরা’র সুবিস্তীর্ণ এলাকায় ওই সব বড় বড় নদীর ‘ফসিল’-এর হদিশ মিলল এই প্রথম। ফলে, ‘লাল গ্রহ’ বরাবরই পাথুরে আর বরফে মোড়া ছিল বলে জ্যোতির্বিজ্ঞানীদের একাংশের মধ্যে যে ‘বিশ্বাস’ ছিল, তাকে সজোরে নাড়া দিল হালের এই গবেষণা।
বিজ্ঞান-জার্নাল ‘জিওলজি’র অগস্ট সংখ্যায় প্রকাশিত ওই গবেষণাপত্রটির শিরোনাম- ‘এক্সটেনসিভ নোয়াকিয়ান ফ্লুভিয়াল সিস্টেমস ইন অ্যারাবিয়া টেরা: ইমপ্লিকেশনস ফর আর্লি মার্শিয়ান ক্লাইমেট’।দুই মূল গবেষকের অন্যতম ইউনিভার্সিটি কলেজ অফ লন্ডনের জিওলজি বিভাগের অধ্যাপক সঞ্জীব গুপ্ত বলছেন, ‘‘প্রায় ৪০০ কোটি বছর আগে মঙ্গলের উত্তর গোলার্ধে ‘অ্যারাবিয়া টেরা’য় প্রায় ১৭ হাজার বর্গ কিলোমিটার এলাকা জুড়ে বইত বড় বড় নদী। আয়তনে এই ‘অ্যারাবিয়া টেরা’ একটা সুবিশাল এলাকা মঙ্গলে। প্রায় একটা ব্রাজিলের মতো। ‘লাল গ্রহে’ পাঠানো মহাকাশযান ‘মার্স রিকনাইস্যান্স অরবিটার’ (এমআরও) যে সব ছবি পাঠিয়েছে, তা আগের চেয়ে প্রায় ২০ গুণ বেশি নিখুঁত ভাবে পরীক্ষা করে দেখা গিয়েছে, এক সময় প্রচুর বৃষ্টি হত ‘অ্যারাবিয়া টেরা’য়। ফলে, মঙ্গল গ্রহ বরাবরই নিষ্প্রাণ পাথুরে বা আপাদমস্তক বরফ বা গ্লেসিয়ারে মোড়া ছিল, আর তা এমনকী, অণুজীবেরও টিঁকে থাকার যোগ্য ছিল না, এমনটা আর ভাবা সম্ভব হচ্ছে না।
মঙ্গলের তাপমাত্রা অনেক বেশি ‘বাসযোগ্য’ ছিল, সেখানে গরম কাল আসত, বৃষ্টি পড়ত ঝমঝমিয়ে, এই গবেষণার ফলাফল সেই বিশ্বাসটাকেই জোরালো করে তুলছে।প্রমাণ পাওয়া গেছে, ‘অ্যারাবিয়ান টেরা’র একটা বিস্তীর্ণ অংশে এক সময় বড় বড় নদী বইত। লম্বায় ১৭ হাজার কিলোমিটার নদীও ছিল ওই এলাকায়। এটাই প্রমাণ করে, প্রাণের জন্য রীতিমতো সহায়ক পরিবেশই ছিল আমাদের প্রতিবেশী মঙ্গল গ্রহে।’’
No comments:
Post a Comment